মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে সভায় যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি দেয়ার পরিকল্পনা ঢাকার
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং চারটি মন্ত্রণালয়ের মোট সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৪৪৪ কোটি ৭ লাখ, বিদেশি ঋণ থেকে আসবে ৪ হাজার ২৪২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁচটি নতুন এবং দুটি সংশোধিত।
এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।’
চলমান আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় নতুন প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রকল্পের আওতায় ১৪ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিক স্মার্ট এনআইডি কার্ড পাবেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৪০টি দেশে তাদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে এবং এনআইডি পরিষেবা সরবরাহ করার জন্য তাদের টিম পাঠাবে। ’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটির মধ্যে স্মার্ট কার্ড তৈরি ও ব্যক্তিগতকরণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পে বিদ্যমান প্রকল্পের পুরাতন সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তাই, প্রকল্পের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
‘এনআইডি পরিষেবাগুলো কোনো প্রকল্পের আওতায় না রেখে রাজস্ব বাজেটের আওতায় আনা যেতে পারে কি না সে বিষয়ে আমরা বৈঠকে একটি সুপারিশ রেখেছি,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এনআইডি নিবন্ধন, জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধকরণ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম একটি একক আওতায় আনা যায় কিনা, বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে।